
ভুটানে ব্যান্ডউইথ রফতানি করবে বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ভারতের পর এবার ভুটানে ব্যান্ডউইথ রফতানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যান্ডউইথের পরিমাণ, দাম ও রুট নির্ধারণ নিয়ে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। তবে, ভারতে রফতানি হওয়া ব্যান্ডউইথের তুলনায় ভুটানে ব্যান্ডউইথ রফতানিতে বেশি দাম পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, শুধু রফতানি নয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে হবে।
বর্তমানে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা রয়েছে বিএসসিসিএলের। এর মধ্যে ৭০ জিবিপিএস ব্যবহার হলেও বাকি ব্যান্ডউইথ দীর্ঘদিন অব্যববহৃত রয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে চলতি বছর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রফতানি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী এই ব্যান্ডউইথ রফতানি করে বছরে প্রায় সাড়ে নয় কোটি টাকা আয় হওয়ার কথা বাংলাদেশের।
সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ভুটান সফরে গেলে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানির আগ্রহ দেখায়। এরই ধারাবাহিকতায় ভুটানের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ এসে বিএসসিসিএলের সঙ্গে বৈঠকে করে। বৈঠকে ব্যান্ডউইথের পরিমাণ, দাম ও সম্ভাব্য রুট নিয়ে আলোচনা হয়। শিগগিরই এব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে জানান বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, রুট ভেদে ১২ থেকে ৮০০ ডলার পর্যন্ত দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ভুটানের সঙ্গে যেহেতু সরাসরি সীমান্ত নেই। ভারতের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাদের সীমান্ত পার হয়ে যাওয়ার সময় পার এমবি কত টাকা নিবে। তারা উত্তর দিলেই ভুটানের সঙ্গে দাম নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যান্ডউইথ রফতানি করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এই সুযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা ছড়িয়ে দিতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ মুনির হাসান বলেন, ভুটানের জন্যে তেতুলিয়া পর্যন্ত ফাইবার অপটিক টানা হবে। এটি সম্ভব হলে স্থানীয় ভাবে ব্যান্ডউইথ এর অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
ভুটানের পাশাপাশি আগামীতে নেপাল ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ব্যান্ডউইথ রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসসসিসিএল। সূত্র: সময় টিভি