
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি তদন্তের আহ্বান
ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সংঘাতকবলিত রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তের জন্য সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকটি চৌকিতে হামলায় ৯ জন পুলিশ নিহত হবার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সে অঞ্চলে ত্রাণকর্মী এবং সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সে হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী।
সে এলাকায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা বলছেন মিয়ানমারে তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যাচ্ছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহু বাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং অনেককে গুলি করে মেরেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না।
সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংঘাত শুরুর পর থেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে যাতায়াত সীমিত করে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। কিন্তু রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। তবে সেসব ভিডিও কিংবা ছবি নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা রীতিমতো অসম্ভব।
ছবি এবং ভিডিও বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় চলমান সংঘাত নিয়ে তদন্তের জন্য এ প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে। বহু কূটনীতিক এবং সাহায্য সংস্থাগুলো রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এমন কিছু বরতে চায় না যেটি বার্মার সরকারকে বিব্রত বা রাগান্বিত করতে পারে।