জাতীয়

শুভ শক্তির আবাহনে শ্যামা পূজা

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হবে শনিবার রাতে। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে শ্যামা বা কালী পূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর। শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক।

হিন্দু পূরাণ মতে, কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তিকে জাগ্রত করতেরই কালীপূজা করা হয়।

কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।

কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন।

রাজধানী ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন সিদ্দেশরী কালী মন্দির, শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, কমলাপুর স্কুল মাঠে সনাতন ছাত্র সংঘ, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক ৮৪নং বনগ্রাম রোডস্থ রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, সূত্রাপুরের বিহারীলাল জিঁও মন্দির, গৌতম মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঠাটারী বাজারে শিব মন্দির, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে মধ্য রাতে। এর আগে গঙ্গাসাগর দিঘির চারপাশে আতশ বাজির প্রদর্শনী এবং সহস্রাধিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হবে।

রমনা কালী মন্দির এবং আনন্দময়ী আশ্রমে দেশবাসী এবং বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামনায় সন্ধায় মন্দির প্রাঙ্গনে ৫ হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দীপাবলী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও দুদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোকেও সাজানো হয়েছে রঙিন আলোয়। পূজামণ্ডপগুলোর সামনে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সন্ধ্যায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে প্রতিটি মণ্ডপসহ ঘরে ঘরে জ্বালানো হয় সহস্র প্রদীপ।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button