আইন ও আদালত

হাসনাতের জামিন নামঞ্জুর

ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেফতার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিমের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা তার জামিনের আবেদন শুনে নাকচ করে দেন। শুনানি শেষে হাসনাতের আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হলি আর্টিজানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় এর আগে এই মামলায় দুই দফায় হাসনাত করিমের আট দিন করে ১৬ দিনের রিমান্ড শেষে ১৩ অগাস্ট তার পক্ষে জামিনের আবেদন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতেও নাকচ হয়।

নর্থ সাউথের সাবেক এই শিক্ষককে ‘পরিস্থিতির শিকার’ দাবি করে জামিনের আবেদনে বলা হয়, সেদিন মেয়ের ত্রয়োদশ জন্মদিন পালনে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন হাসনাত।

আদালতে প্রসিকিউশন পুলিশের সহকারী কমিশনার নিজাম উদ্দিন তার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

গত ১৩ আগস্ট হাসনাত করিমকে গুলশানে হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আট দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। হাসনাত করিমকে এই মামলার প্রথম আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

৮ জুলাই পুলিশ হাসনাত ও তাহমিদকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেও তারা বাসায় ফিরে যাননি বলে তাদের পরিবার জানিয়েছিল।

এর আগে ৩ আগস্ট রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাহমিদকে এবং গুলশানে আড়ংয়ের সামনে থেকে হাসনাতকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। পরে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর কমান্ডো অভিযান শেষে উদ্ধার ১৩ জনসহ ২৭ জনকে নেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে হাসনাতও ছিলেন।নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম মেয়ের জন্মদিন উদযাপনের জন্য সেদিন সপরিবারে হলি আর্টিজানে গিয়েছিলেন বলে স্বজনেরা দাবি করেছিল।

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২০১২ সালে হাসনাত করিমকে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবর প্রকাশ হয়।

গুলশানের ওই জিম্মি সঙ্কটের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র বিতর্ক আর রহস্যের জন্ম হয় হাসনাতকে নিয়ে। পরে তার স্ত্রী দাবি করেন, বন্দুকের মুখেই বাধ্য হয়েছেন তার স্বামী।

উল্লেখ্য, আর্টিজান বেকারিতে অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত ২০ জনের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, নয়জন ইতালি, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতীয়। এছাড়া গুলশানের ওই সন্ত্রাসী হামলায় ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। জিম্মিকারীদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গি হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার ঘটনায় দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button