
জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা আছে : রিজভী
ঢাকা, ১ নভেম্বর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একের পর এক ঘটনা ঘটে আর আগেরটি ধামাচাপা পড়ে যায়। জনগণ বিশ্বাস করে এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা আছে। জঙ্গিবাদের কর্মকাণ্ডে সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘চাই বাকস্বাধীনতা, চাই গণতন্ত্র’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুবদল।
জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে সরকার একেকটি ইস্যু সামনে আনে অভিযোগ করেন তিনি বলেন ‘আসলে এ ধরনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকায় জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ-বিদ্বেষ আছে তা অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া জন্য কখনো কখনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, সংঘাত, মন্দির-গির্জায় আক্রমণ, আবার কখনো কখনো জঙ্গিদের নামে ধর্মগুরুদের হত্যা করা হয়।’
সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বললেও তাদের শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা ঘটেছে দাবি করে রিজভী বলেন, এই সরকার সেক্যুলিজমের কথা বলে। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। অথচ তাদের সময়েই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, খুন, ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননা করে বক্তব্য এসেছে। এটি কোন ধরনের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ?
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক নেতা বলছেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন। আবার আরেকজন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আবার কেউ বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। কোনটা ঠিক? তার চেয়ে বলুন আপনাদের নাতি-নাতনি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কথা বলে জনগণের কাছে কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে? তাদের বক্তব্যে জনগণ বিভ্রান্ত। বিভ্রান্তি তৈরি করাই আওয়ামী লীগের মূল কর্মসূচি। তারা বিভ্রান্তিই তৈরি করতে চায়।’
সরকার নির্বাচন কমিশন ও গণতন্ত্র ধ্বংসের পর এখন বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
‘প্রধান বিচারপতি আক্ষেপ করে বলেছেন, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ চলছে। তিনি যথার্থই বলেছেন। তার ওপর যে বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, অর্থাৎ শাসক দল তাদের পক্ষে বিচারের রায় নিয়ে আসার জন্য যে চাপ প্রয়োগ করছে তা স্পষ্ট হয়েছে প্রধান বিচারপতির আক্ষেপে।’
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে’ বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওইদিন দলে দলে জনগণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবে। সমাবেশ হবেই।
যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি কস্তার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদল নেতা আবদুল খালেক, ফারুক আহমেদ, মীর নেওয়াজ আলী, আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স।