
কাশ্মীরে পুড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা
ঢাকা, ২ নভেম্বর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ভারত শাসিত কাশ্মীর অংশে চলমান অস্থিরতায় বন্ধ রয়েছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে কয়েক মাস ধরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই সেখানে পুড়ছে একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এমনটাই জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। খবরে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে চলমান সহিংসতায় গত কয়েক সপ্তাহে আগুনে পুড়ে গেছে স্থানীয় ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে দু’টি স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গত রোববার (৩০ অক্টেবর)।
স্থানীয় এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওই অঞ্চলের প্রায় ১০টি জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাচ্ছে তা জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এসব ঘটনায় সেখানকার দুই রাজনৈতিক দল পিপলস ডেমোক্রাটিক পার্টি (পিডিপি) ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজিপি) সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দল দুইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এসব ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গুলজার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এটি সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমি একজন ছাত্র হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি। কেন স্কুলগুলোকে পোড়াতে হবে। এসব আমাদের প্রতিষ্ঠান, আমাদের সম্পদ।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় শিক্ষামন্ত্রী নাঈম আক্তার বলেন, শিক্ষা কোনো সমাজে অক্সিজেনের মতো। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। যারা এসব ঘটনা ঘটায়, তারা কাশ্মীরের বন্ধু হতে পারে না।
নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করার চিন্তা-ভাবনা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের জুলাইয়ে স্থানীয় হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন সহিংসতা শুরু হয়। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯০ জন।