রাজনীতি

‘তাদেরই দোসর ছিল জেনারেল এরশাদ’

ঢাকা, ৩ নভেম্বর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

গণতন্ত্রের কথা বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, “ভোট কেন্দ্র দখল, সিল মারা, চুরি করা সব কিছু জিয়া সৃষ্টি করে গেছে। যেটা পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া অনুসরণ করে গেছে।”

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের স্মরণ সভায় বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, “আজকে আবার বিএনপি নেতারা নির্বাচনে স্বচ্ছতার কথা বলেন। তাদের, বলবো একটু তারা যেন তাদের অতীত ইতিহাসটা দেখেন।”

“তাদের নেতা জিয়াউর রহমান কী করে গিয়েছিল, খালেদা জিয়া কী করে গিয়েছিল। তাদেরই দোসর ছিলো জেনারেল এরশাদ।“

বর্তমান সরকারের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভাবী সাহেবকে খুব আদর আহ্লাদ করেছিল। ভাবী সাব আবার তেমন বেশি সুনজর দেখায়নি বলে জেলে পুরে গিয়েছিল।কারণ এক বনে দুই বাঘ কী করে থাকে!”
শেখ হাসিনা বলেন, “জিয়া মারা যাওয়ার পর ৪০ দিন টেলিভিশনে শুনেছি, জিয়াউর রহমানের কিছুই ছিলো না। খাবারের টাকাও ছিলো না। কাহিনী শুনতে শুনতে হঠাৎ বেরিয়ে এলো সে যুগের ১০ লাখ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।”

“ভাবী সাহেবকে উদ্ধার করার জন্য উঠে আসলো এরশাদ। তাড়াতাড়ি বলে দিলো সরকারের পক্ষ থেকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে।”

দেশে অগণতান্ত্রিক ধারা, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ধারা, এটা নিয়ে এসেছিলো জিয়াউর রহমান- মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের নেতারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, গুম খুনের বিরুদ্ধে কথা বলে তখন মনে হয় তারা আয়নায় চেহারাটা দেখে না।”

“মেকাপ করার জন্য দেখা নয়। নিজেদের আসল চেহারা, রূপটা, যে তারা কী করে এসেছিলো, সেটা তারা দেখে না।”

হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে জিয়া প্রথম বাংলাদেশের নির্বাচনকে কলুষিত করেছিলো-মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “জিয়া ক্ষমতায় আসার পর প্রতিরাতে কারফিউ ছিলে। জিয়া জনগণের গণতন্ত্র দেয়নি। দিয়েছে কারফিউ গণতন্ত্র। আবার বিএনপি বলে জিয়া গণতন্ত্র দিয়েছে।”
“জিয়া ক্যান্টনমেন্টে বসে ক্ষমতার উচিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিল। সংবিধান ও সেনা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় গিয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে গঠিত দলও অবৈধ।”

নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “কিছু দালাল তো সব সময়ই থাকে। রাজনীতিতে যারা এক সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ছিল। যারা দলের সঙ্গে বেঈমানি করেছিলো। আইয়ুব খানের কাছে বিক্রি হয়েছিল, স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, ৭৫ এ যারা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তারাই তো জিয়াউর রহমানের দলে ভিড়েছিল।”

“তাদের ছেলে-মেয়ে, অনেকে তারা অনেক বড় বড় কথা বলে। আমার মাঝে মাঝে হাসি পায়, বেঈমানের ঘরের সন্তানরা বেঈমানই শিখবে, ভালো আর কি শিখবে।”

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button