
সেই বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা দুদকের জালে আটকা
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বুধবার রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নগরীর মীর্জাজাঙ্গাল এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর রাতেই তাকে কোতোয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
সিলেট দুদকের উপসহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার যুগান্তরকে জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর দুদকের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সিলেট’র উপ পরিচালক রেবা হালদার, সহকারী পরিচালক দেবব্রত মন্ডল ও উপ সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার।
এর আগে সুব্রত জুয়েলের দুর্নীতির ব্যাপারে দৈনিক যুগান্তরে কয়েক দফা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল ।
মুক্তিযুদ্ধ না করেই জুয়েল ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে দাপট দেখান প্রশাসনে। মুক্তিযোদ্ধা সনাক্তকরণের কোন তালিকাতেও তার নাম নেই। তারপরও তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা কমান্ডের কমান্ডার। সকল অসম্ভবকে সম্ভব করার পর তার অনেকটা বেপরোয়া অবস্থা।
দুদক-প্রশাসন-আইন কোনও কিছুকেই তোয়াক্কা করেন না। গরীব দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের কোটি কোটি টাকা লুটের অভিযোগে নোটিশ করলেও কোনও জবাব দেননি। মামলা করার আড়াই মাস পর গ্রেফতার হলেন তিনি।
গত ১ সেপ্টেম্বর সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। বাদি দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় সিলেট-এর উপ-পরিচালক রেভা হালদার।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ১৯ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা মামলাটি রেকর্ড করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। মামলায় মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের নামে বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা, গরুর হাট লিজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
সম্প্রতি সিলেটে তোলপাড় চলছে সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘রণাঙ্গন-৭১’ প্রকাশনা নিয়ে। ওই স্মারকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের পিতাকে রাজাকার আখ্যা দেয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাবা অ্যাডভোকেট আবদুল হাফিজের নাম সিলেট জেলা শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের বাবা দেলওয়ার হোসেন পিরু মিয়াকে বলা হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান।