জাতীয়

কলেজ বন্ধু সিফাতের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়ায় সোহান

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

 

ছোট আগ্নেয়াস্ত্র চালানো ও বোমা বানানোর বিশেষজ্ঞ গাজী কামরুস সালাম সোহান(২৭) জঙ্গিবাদে জড়ায় তার কলেজ বন্ধু আত্-তামকিন জঙ্গি সাইটের অ্যাডমিন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহামন সিফাতের মাধ্যমে।

২০১৩ সালে বন্ধু সিফাতের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হয় সোহান। সিফাতই জেএমবির আমির সারোয়ার জাহানের (নিহত) সঙ্গে সোহানকে পরিচয় করিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর সোহান হয়ে ওঠে ‘সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের ছোট আগ্নেয়াস্ত্র চালানো ও বোমা বানানোর বিশেষজ্ঞ।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে এক বিশেষ অভিযানে এয়ারপোর্ট-রেলস্টেশন এলাকা থেকে মাওলানা আব্দুল হাকিম ও রাজীবুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাব। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, আদাবরের মোহাম্মাদীয়া ক্যাফে থেকে সোহেল রানা, গাজী কামরুস সালাম সোহান ও আবু সালেহকে আটক করা হয়। এর আগে চলতি বছরের ৯ আগস্ট র‌্যাব-৪ এর এক অভিযানে মোস্তাফিজুর রহমান সিফাতসহ ৬ জন আটক হয়।

যশোরে জন্ম নেওয়া গাজী কামরুস সালাম সোহান মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করে ২০০৭ সালে। পরবর্তীতে ২০০৮-২০১১ সেশনে গাজীপুরের ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি(আইইউটি) থেকে ইলেকট্রক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স এ বিএসসি সম্পন্ন করে। আইইটিতে পড়াশুনারত অবস্থাতেই জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হয় সে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে একই সঙ্গে পড়াশোনা করতো সিফাত ও সোহান। পরবর্তীতে আইইউটিতে ভর্তি হওয়ার পর সিফাতের সঙ্গে সোহানের সখ্যতা বেড়ে যায়। আইইউটিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় হাতেমবাগে জসীম উদ্দিন রাহমানির মসজিদে যাতায়াত করত সোহান। উক্ত মসজিদে একই মতাদর্শের আরও কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তার।

২০১৩ সালে তার ভেতরে জঙ্গিবাদ দৃঢ়ভাবে জায়গা করে নেয়। বন্ধু সিফাত তাকে জঙ্গিবাদ মদদপুষ্ট একই সাইটে অন্তর্ভুক্ত করে দেয়। সাইটটিতে মূলত দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উগ্রমনা সদস্যরা থাকতো। এভাবেই সিফাত জেএমবির ‘সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে দেয়। সিফাতই জেএমবির মৃত আমির সারোয়ার জাহানের সঙ্গে সোহানের পরিচয় করিয়ে দেয়।

র‌্যাব জানায় এর পরই সোহানকে ক্ষুদ্রাস্ত্র চালনা ও বোমা বানানোর প্রশিক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তার ওপর দায়িত্ব আসে বিভিন্ন নাশকতামূলক হামলার পূর্বে কারিগরি সহায়তা করা। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে বিস্ফোরক তৈরির কাজ সে করতো।

এছাড়া সোহানের উপর অন্যতম দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থের যোগান দেওয়া। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ মতাদর্শে বিশ্বাসী যারা কাজ করে তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতো সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে আসা ২৮ লাখ টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে পেরেছে র‌্যাব। টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত এমন কয়েকজনের নামও প্রকাশ করেছে র‌্যাব।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button