
‘ভায়রা ভাই’ মুশফিককে হারালেন মাহমুদ উল্লাহ
ঢাকা, ২১ নভেম্বর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
লড়াইটা ছিল দুই ‘ভায়রা ভাই’য়ের। সেই লড়াইয়ে মুশফিকুর রহীমকে হারালেন মাহমুদ উল্লাহ। রবিবার চট্টগ্রামে মাহমুদ উল্লাহর খুলনা টাইটান্স ২২ রানে হারিয়েছে মুশফিকের বরিশাল বুলসকে। টানা চার ম্যাচ জিতে এবারের বিপিএলের ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে একক ভাবে বসলো খুলনা। ৬ ম্যাচের ৩টিতে হারল বরিশাল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করল খুলনা। মাহমুদ উল্লাহ ৪৪ ও রিকি ওয়েসেলস ৪০ রানের ইনিংস খেললেন। তাতে ৭ উইকেটে ১৫১ রান পেল দল। ব্যাটিংয়ে শক্তি আছে বরিশালের। কিন্তু মুশফিকুর (২৩ বলে ৩৫), শাহরিয়ার নাফীসরা (৩৫ বলে ২৮) দলের দুই সেরা স্কোরার হলেও ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং করতে পারেননি। অন্যদের ব্যর্থতায় ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। ১৯.৩ ওভারে ১২৯ রানে অল আউট তারা। ১৭ রানে ৪ উইকেট বরিশালের পেসার শফিউল ইসলামের। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এই আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন তিনি। এবারের বিপিএলে ২ ম্যাচে ৪টি করে উইকেট নিলেন।
কিছু পরিবর্তন ছিল বরিশালের। সেই হাওয়ায় ফজলে মাহমুদ ওপেন করে শূণ্য হাতে ফিরেছেন। ওপেনার জীবন মেন্ডিস (২১) দুই অংকে পৌঁছানো বরিশালের ৫ ব্যাটসম্যানদের একজন। শামসুর রহমান (১২), নাফীসদের ইনিংস স্লো করার দায় নিতে হবে।
৯.২ ওভারে ৪৫। সেখান থেকে মুশফিক-নাফীস ৮৮ রানে নিলেন দলকে। কিন্তু স্পিনার মোশাররফ রুবেল জোড়া উইকেট নিলেন ১৫তম ওভারে। পরের ওভারে মুশফিককে তুলে নেন শফিউল। আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকেনি বরিশালের। শফিউল-জুনায়েদ মিলে শেষ করেছেন প্রতিপক্ষের ইনিংস। ২টি করে উইকেট মোশাররফ ও জুনায়েদের। ১ উইকেট মাহমুদ উল্লাহর। অধিনায়কই ম্যাচের সেরা।
এর আগে বরিশালের নিয়মিত পারফর্মার বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম পঞ্চম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। ৩ বলের মধ্যে খুলনার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। প্রথমে ক্যারিবিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচার (৪) তাকে তুলে মেরেছিলেন। এরপরই হাসানুজ্জামান (১৯)। দুজনই লং অনে আবু হায়দার রনির তালুবন্দি হয়েছেন।
২৪ রানে ২ উইকেট হারানো খুলনা অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহর ব্যাটে চাপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে দ্রুত ছোটে রানের চাকা। আগের ম্যাচে ফিফটি করা মাহমুদ উল্লাহ এই ম্যাচেও সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ঝড়ো ৪৪ রান করে বিদায় নেন। নিজের শেষ ওভারে তাকে বিদায় করেন তাইজুল।
মাহমুদ উল্লাহর সাথে ৫৩ রানের জুটি গড়া রিকি ওয়েসেলস এক প্রান্ত ধরেছিলেন ৩ নম্বরে নেমে। কিন্তু ২৯ বলে ৪০ রান করে তিনি রায়ান এমরিটের শিকার। ওটা ১৭তম ওভারের ঘটনা। ১২৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর খুলনার সংগ্রহ ১৫০ পার করার কৃতিত্ব আরিফুল হকের। ২২ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। শেষে ১০ রান করেছেন তাইবুর রহমান। ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট তাইজুলের। এবারের বিপিএলে এটা তার সেরা বোলিং। তবে খুলনার বোলাররা তাইজুলদের চেয়ে ভালো পারফর্মই করলেন। তাতে জয় মাহমুদ উল্লাহদের।