খেলাধুলা

শুরুতেই মুস্তাফিজকে পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

সাতক্ষীরা থেকে ছুটি কাটিয়ে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমান সাত-আট পা দৌড়ে বোলিং করছেন আর পেছনে দাঁড়িয়ে তা পাখির চোখে পর্যবেক্ষণ করছেন একজন। তিনি বাংলাদেশ দলের ফিজিও হিসেবে সদ্য যোগ দেওয়া ডিন কনওয়ে। গতকাল মিরপুর একাডেমি মাঠে ইংল্যান্ড দলের সাবেক এ ফিজিওর পর্যবেক্ষণ অবশ্য আশাব্যঞ্জক কিছু নয়। বরং তিনি যা বলেছেন, তাতে ‘কাটার মাস্টার’কে নিউজিল্যান্ড সফরের শুরু থেকেই পাওয়াটা অনিশ্চিত।

গত আগস্টে লন্ডনে বোলিং কাঁধে অস্ত্রোপচার করিয়ে আসা মুস্তাফিজ গত বেশ কিছুদিন ধরেই আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে। নিউজিল্যান্ড সফরে পুরো ফিট এ বাঁহাতি পেসারকে পাওয়ার আশায় তাঁকে ২০ জনের দলেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সফর। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর আছে সমানসংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও। নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ব্ল্যাকটাউনে দিন দশেকের প্রস্তুতি শিবিরও আছে বাংলাদেশ দলের। বিসিবির চিকিত্সকরা আশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি শিবির চলাকালীনই পুরোপুরি ফিট হয়ে যাবেন মুস্তাফিজ এবং তাঁকে কিউইদের বিপক্ষে পাওয়া যাবে শুরু থেকেই। কিন্তু এ মাসেই দায়িত্ব নেওয়া মাশরাফি বিন মর্তুজাদের নতুন ফিজিওর তা মনে হচ্ছে না।

একাডেমির নেটে কিছুক্ষণ মুস্তাফিজের বোলিং দেখার পর কাল তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগেও যদি সে পুরোদমে বোলিং করে, তাহলেও পুরো ক্রিকেট ফিটনেস ফিরে পেতে ওর আরো তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগবে। ওর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আমার তাই মনে হয়েছে।’ সে ক্ষেত্রে ওয়ানডে সিরিজ তো বটেই, এমনকি টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মুস্তাফিজকে পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ তিনটি ৩, ৬ ও ৮ জানুয়ারি। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ১২ জানুয়ারি থেকে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে সিরিজের শেষ টেস্ট ২০ জানুয়ারি থেকে। তবে যখন থেকেই তাঁকে পাওয়া যাক না কেন, মুস্তাফিজের দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে উড়ে যাওয়া নিয়ে কোনো সংশয়ই নেই। এর আগে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আনফিট মুস্তাফিজকে নিয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। পুরো ফিট হয়ে খেলা ম্যাচগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্ট সেরা বোলিংও করেছিলেন এই তরুণ ফাস্ট বোলার। এবার সেই দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলা অনিশ্চিত মুস্তাফিজের।

যদিও সফরসূচির শেষে থাকায় তাঁর টেস্ট খেলার সম্ভাবনাও জোরালো। মনে হচ্ছে, কনওয়েও টেস্টের জন্যই মুস্তাফিজকে পুরো ফিট করে তোলার কথা ভাবছেন, ‘সব বোলারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি একই থাকছে। এমনকি যারা এখন বিপিএল খেলছে, ওদেরও নিউজিল্যান্ডে গিয়ে লম্বা স্পেলে বোলিং করতে হবে।’ সেই লক্ষ্যে পুনর্বাসনের মধ্যে থাকা মুস্তাফিজ কাল নেটে করেছেন ২৪টি বল। চোটে পড়ে পুনর্বাসনে থাকা আরেক পেসার এবাদত হোসেন করেছেন একটু বেশি, ৩০টি। কনওয়ের মতে মুস্তাফিজের ভীতিও কাটেনি পুরোপুরি, ‘আমার মনে হচ্ছে এখনো ভয় কাজ করছে ওর মধ্যে। সেটি বোলিং নিয়ে নয়। পড়ে গিয়ে আবার কাঁধে চোট পায় কিনা, ভয়টা তা নিয়েই। আশা করি সেই ভয় কাটিয়ে ও দ্রুতই ফিরবে।’

 

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button