
ঢাকা,০৬ মে, (ডেইলি টাইমস ২৪):
তিনি বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম- আমি শাসক না জনগণের সেবক হিসেবে বাংলাদেশ পরিচালনা করব। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, আমি জানি এটা আমার জন্য কঠিন পথ। কারণ এই মাটিতে আমার বাবা-মা-ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিতে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দুর্দিনেও নাই উন্নয়নেও নাই। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে খালি হাতে আসিনি। অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছি। যে কাজগুলো ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো উদ্বোধন করেছি। যেগুলো করব, সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এখানে পর্যটক আসে, সেহেতু তাদের যাতায়াতের জন্য বিমান নিয়ে এসেছি। এই বিমান আজ কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করলো। আমি এই বিমানের মাধ্যমে এখানে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনার ঘোষণা দিলাম।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই এয়ারপোর্টটি (বিমানবন্দর) জরাজীর্ণ ছিল, ৯৬ সালে সরকারে এসে এটিকে উন্নত করে যাই। এই বিমানবন্দরকে উন্নত করার জন্য আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিএনপি নেত্রী জানতেন না। আমি সংসদে তোলার পর উনি বলে দিলেন, যত মরার কথা, তত মানুষ মরে নাই। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কত মানুষ মরলে আপনার তত মানুষ হবে?
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে (সেদিন) ছুটে এসেছিলোম। আসার পথে কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছিল। রাস্তা ভাঙা ছিল। এরই মধ্যে এসে সমস্ত দ্বীপাঞ্চল ঘুরে ঘুরে রিলিফ ওয়ার্ক করেছি। তখন পর্যন্ত বিএনপি সরকারের কেউ আসেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি কক্সবাজারের বদনাম রয়েছে, এখান থেকে নাকি ইয়াবা সাপ্লাই হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। যেই এর সাথে জড়িত তাকে শাস্তি পেতেই হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটা জিনিসই চাই। শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষক জনগণ সবার কাছে চাই… সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
শনিবার সকালে বোয়িং বিমানে চেপে কক্সবাজার পৌঁছে পর্যটন শহরটিতে সুপরিসর বিমান চলাচল উদ্বোধনের পরে ইনানীতে গিয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।