
পরকীয়া সন্দেহে স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে জখম
ঢাকা,০৬ মে, (ডেইলি টাইমস ২৪):
শনিবার সকালে উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ধনকী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রাসেল আহমেদ খাঁন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জজ মিয়া ধনকী পাড়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার ছেলে। তিনি কুয়েত প্রবাসী। ছুটিতে হতে কয়েকদিনের জন্য বাড়ি এসেছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে মোটরসাইকেলে বিদ্যালয়ে আসার পথে রাসেল আহমেদকে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। রাসেল আহমেদ স্কুল মাঠ থেকে দৌঁড়ে ধনকিপাড়া বাজারের দিকে ছুটে গেলে উপস্থিত জনতা জজ মিয়াকে আটক করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে জজ মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, জজ মিয়া মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির ও সন্দেহপ্রবণ লোক। তার স্ত্রীর সঙ্গে কেউ কথা বললেই তাকে সন্দেহ করত। জজ মিয়া তার মা,বাবা ও স্ত্রীকে মারপিট করে।
জজ মিয়ার মেয়ে শাপলা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সে এলাকার সারোয়ার নামে একজনের কাছে প্রাইভেট পড়ত। স্ত্রীর সঙ্গে সারোয়ারের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করত জজ মিয়া। তবে জজ মিয়ার স্ত্রী নাছরিন আক্তার সম্পর্কে কখনো কোনো খারাপ কথা শোনা যায়নি।
এদিকে সারোয়ার ও রাসেল দেখতে অনেকটা একই রকম। তাই সারোয়ার মনে করে রাসেলকে কুপিয়ে জখম করে জজ মিয়া।
থানা হেফাজতে থাকা জজ মিয়া বলেন, ‘শিক্ষক রাসেল আহমেদের সঙ্গে আমার স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি অগোচরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন।’
আহত শিক্ষক রাসেল আহমেদ জানান, ‘জজ মিয়ার সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নেই।’
ধনকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভজন রায় জানান, রাসেল একজন আদর্শ শিক্ষক। তার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে জজ মিয়া।
কটিয়াদী থানার ওসি জাকির রব্বানী বলেন, আহত শিক্ষক রাসেল আহমেদ বাদী হয়ে জজ মিয়াকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।