
চলে গেলেন; ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ
অপরাজেয় বাংলা’ ভাস্কর্যের ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
২০ মে শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১০ মে থেকে সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ খালিদ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
৭৫ বছর বয়সী সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ‘অপরাজেয় বাংলা’ ভাস্কর্যের ভাস্কর। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রের সামনে স্থাপন করা ম্যুরাল ‘আবহমান বাংলা’ এবং ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান দফতরের সামনে টেরাকোটার ভাস্কর্যও নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়া তার কাজের মধ্যে রয়েছে ‘অঙ্কুর’, ‘অঙ্গীকার’, ‘ডলফিন’, এবং ‘মা ও শিশু’।
শিল্পকলা ও ভাস্কর্যে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল্লাহ খালিদ ২০১৪ সালে শিল্পকলা পদক এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
সিলেট জেলা শহরে জন্ম নেওয়া আব্দুল্লাহ খালিদ ১৯৬৯ সালে তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্টস (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চিত্রাঙ্কন বিষয়ে স্নাতক এবং পরে ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে আব্দুল্লাহ খালিদ তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭২ সালে সেখানকার লেকচারার থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর উদ্যোগে কলাভবনের সামনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘অপরাজেয় বাংলা’র নির্মাণের দায়িত্ব পান।
১৯৭৩ সাল থেকে ‘অপরাজেয় বাংলা’র নকশার কাজ শুরু করেন আব্দুল্লাহ খালিদ। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে কাজ শেষে ১৯৭৯ সালে ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক।