জেলার সংবাদ

পাথরঘাটায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা

ঢাকা,২২ মে, (ডেইলি টাইমস ২৪):

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর মামলা দায়ের করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
রবিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিজানুর রহমান আবু পাথরঘাটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মন্নান হাওলাদার, তার ভাই  আ. রাজ্জাক, বোন জামাতা হযরত আলীসহ পাঁচ থেকে সাতজনকে  আসামি করা হয়। মামলা নম্বর সিআর-১২২।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ানুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে রবিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
মামলা পরিচালনাকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার কীর্ত্তনিয়া মিন্টু বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যূনালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার হিসেবে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়ে হাতে অস্ত্র এলাকার নিরীহ লোকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের গরু, মহিষ ও গচ্ছিত অর্থ সম্পদ লুটপাট করে এবং এলাকার মা, বোনদের ইজ্জত হরণ করে। আসামিরা তৎকালীন শান্তিপ্রিয় লোকদের ত্রাস সৃষ্টিকারী হিসেবে অর্থ সম্পদ লুট করে সম্পদের পাহাড় সৃষ্টি করে এবং নামে বেনামে জায়গা জমি, দালান কোঠা তৈরি করে বর্তমানে ভোগ-দখলে আছেন। আসামিরা পাক সেনাদের মনোরঞ্জন করার জন্য এলাকার মেয়েদের জোর করে ধরে নিয়ে পাক সেনাকুঞ্জে যোগান দিতেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে ওয়াপদার ওপরে বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুড়ি চালায়। পরদিন ৩০ জুন চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে হত্যা করতে না পেরে তার কাকা সুরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে হত্যা করে লাশ গোপন করে। ১৮ আগস্ট বাদির বাবা মতিয়ার রহমান ও ১নং সাক্ষী মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রীর বাবা মনোহর মিস্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করে। পরে মনোহরের বাড়ি অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়।
মামলা বাদী মিজানুর রহমান আবু বলেন, ‘আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচারের জন্যই এ মামলা করেছি। আশা করছি আদালত আমার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবেন।’
Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button