
জলবায়ু চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণের সুযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের
ঢাকা, ০৩ জুন, (ডেইলি টাইমস ২৪):
তিনি বলেন, শহর, রাজ্য ও ব্যবসায়ের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে। খবর বিবিসির।
নিজেদের অবস্থান থেকে মার্কিনরা সরে আসতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন মাইকেল ব্লুমবার্গ।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন ব্লুমবার্গ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে দেয়া এক বক্তৃতায় প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উপর ‘অর্থনৈতিক বোঝা’ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। তাই, আরও ‘ফেয়ার’ বা ‘ন্যায্য’ চুক্তির জন্য তিনি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি প্যারিসকে নয়, পিটসবুর্গের মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করতে নির্বাচিত হয়েছি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যেই চুক্তিতে আমেরিকার স্বার্থ দেখা হয়নি সেই চুক্তি থেকে আমরা নাম প্রত্যাহার করে নেবো, নতুবা এটি নিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসতে হবে।’
ট্রাম্প মনে করেন, এটি এমন একটি চুক্তি যার কারণে আমেরিকা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিন্তু লাভবান হবে অন্য দেশ।
চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করার কারণ হিসেবে বলেছেন, এমন চুক্তি তিনি চান যা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও বেশি ‘ন্যায্য’।
ট্রাম্প আরও বলেন, প্যারিস চুক্তিতে মার্কিনিদের উপরে অতিরিক্ত অর্থনৈতিক বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই চুক্তি মানলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে অসুবিধায় পড়বে ও বাধাগ্রস্ত হবে বলেও তিনি মনে করছেন। ট্রাম্প বলেছেন, এই চুক্তির কারণে অ্যামেরিকার জিডিপিতে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে এবং চাকরি হারাবে প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্যারিস চুক্তি ২০১৫ সালে হওয়ার সময় ওবামা তখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।
প্যারিস চুক্তিতে আমেরিকাসহ আরও ১৮৭টি দেশ মিলে অঙ্গীকার করেছিল যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা তারা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখবে; এমনকি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নামিয়ে আনত চেষ্টা করবে।