
সাভারের আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া তিন জঙ্গি গ্রেফতার
ঢাকা, ০৪ জুন, (ডেইলি টাইমস ২৪):
সাভারের মধ্য গেন্ডা এলাকার জঙ্গি আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া নব্য জেএমবি’র তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এরা হলো, মনির হোসেন ওরফে সুমন, তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুহিন ও কামাল হোসেন। রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করার পর ২৬ ও ২৭ মে মধ্য গেন্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। কাউকে আটক করা না গেলেও প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া জেএমবি সদস্যদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) এদের মধ্যে দুজনকে সাভার ও একজনকে লহ্মীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। মনির ও কামাল সাভার মামলার এজহারভুক্ত আসামি।’
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, মনির নব্য জেএমবি’র বর্তমান আমির আইয়ুব বাচ্চুর সহযোগী। মনির ও তৌহিদুল পেশায় ড্রাইভার হলেও তারা নব্য জেএমবির হার্ডকোর কর্মী।
সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, মনির ও আইয়ুব বাচ্চু সাভারের গেন্ডার আনোয়ার মোল্লার বাসায় পাশাপাশি থাকতো। গেন্ডার অপারেশনের আগেই সাংগঠনিক কাজে বাইরে যায় বাচ্চু। এরই মধ্যে আনোয়ার মোল্লার বাসা ছেড়ে দিয়ে পাশেই সৌদি প্রবাসী হাবিবুর রহমানের বাসায় ওঠে।
নব্য জেএমবির বর্তমান আমির আইয়ুব বাচ্চু এর আগে সিলেটের মৌলভীবাজারে অবস্থান করছিল। আতিয়ামহলে অভিযানের পর সাভারের মনিরের সহায়তায় তার পাশের বাসায় ভাড়া নেয়।
এছাড়া সাভারের আগে থেকে মনির ও অন্য আরেকজন সক্রিয় সদস্য ছিল। যারা এই এলাকায় জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত এমন ১২-১৪ জনের নাম জানা গেছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি একটি সূত্র। আর এদের পরিচালনা করে আসছিল মনির ও অন্য আরেক। মনির গ্রেফতার হলেও অন্য আরেকজন এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সাভারের গেন্ডায় অভিযান চালায় সিটিটিসি। সেখানে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও ৭টি হেন্ডমেইড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।