
আন্তর্জাতিক
গো-রক্ষায় যোগী আদিত্যনাথের জাতীয় নিরাপত্তা আইন
ঢাকা, ০৭ জুন, (ডেইলি টাইমস ২৪):
সমগ্র ভারতে হত্যার উদ্দেশ্যে গবাদি পশু কেনাবেচার উপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই, গো-রক্ষা বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে পরিণত করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গোহত্যা বা দুধের জন্য পোষা হয় এমন গবাদি পশুর বেআইনি পাচারে ধরা পড়লে উত্তরপ্রদেশে এবার জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) ও দুষ্কৃতী আইন (গ্যাংস্টার অ্যাক্ট) প্রয়োগ করা হবে। রাজ্য পুলিশের প্রধান (ডিজিপি) সুলখন সিংহ এক সতর্কবার্তায় মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এই নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে।

এনএসএ-তে কাউকে ধরা হলে যতদিন খুশি আটক রাখা যায়। ধৃতকে তার কারণ জানানোরও দায় থাকে না পুলিশের। গো-রক্ষায় যোগীর দ্বিতীয় অস্ত্রটিও কম নয়। ‘গ্যাংস্টার অ্যাক্টে’ ধৃত ব্যক্তিকে সাধারণ ক্ষেত্রে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখা যায়। বিশেষ ক্ষেত্রে এটা ৬০ দিন পর্যন্তও হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এক বার ‘গ্যাংস্টার অ্যাক্ট’ এর আওতায় আসা মানেই পুলিশের দুষ্কৃতী তালিকায় নাম উঠে যাওয়া। পরে যেকোনো সময়ে থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন জারি করা যায় তার বিরুদ্ধে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলেও যেকোনো সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করতে পারে পুলিশ।

অর্থাৎ গোহত্যা বা গবাদি পশু পাচারের দায়ে একবার ধরা পড়লে এবার থেকে সারা জীবনের জন্য দাগি অপরাধী হয়ে থাকতে হবে যোগীর রাজ্যে। তবে এমন নয় যে, যোগী সরকারই এটা চালু করল। এমন অপরাধে ওই দুই আইন কার্যকর করার নির্দেশ জারি হয়েছিল বিগত অখিলেশ যাদব সরকারের আমলেই। কিন্তু বাস্তবে তা প্রয়োগ করা হতো না সেভাবে। যোগী সরকার এবার এই দু’টি আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে গোহত্যা বা গবাদি পশুর পাচার রুখতে বদ্ধপরিকর। এর পাশাপাশি ডিজিপি সুলখনের নির্দেশ, গো-রক্ষার নামে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনাও ঠেকাতে হবে। এজন্য কোথায় কোথায় গোহত্যা বা গবাদি পশু পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে, ঘটছে কিংবা ঘটতে পারে, সে ব্যাপারে আগাম সজাগ থাকতে হবে রাজ্যের প্রতিটি থানার প্রধানকে। দ্য হিন্দু।