
রেলের অগ্রিম টিকিটের তৃতীয় দিনে ছিল হাহাকার
ঢাকা, ১৪ জুন, (ডেইলি টাইমস ২৪):
অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনে কমলাপুর স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় ছিল অন্য দুইদিনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে সীমিত টিকিটের কারণে প্রত্যাশিত টিকিট না পাওয়ার হাহাকারও সেটশনের বাতাসে।
প্রথমদিন সোমবার টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীদের ভিড় তেমন ছিল না। তবে মঙ্গলবার এ চিত্র ছিল ভিন্ন।
বুধবার টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় ছিল অন্য দুইদিনের তুলনায় আরও অনেক বেশি। সকাল ৮টা থেকে ২৩ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এর আগে ৭টার দিকেই কাউন্টার ঘিরে প্রতিটি সারি রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছায়। সংকুলান না হওয়ায় পরে সাপের মতো আঁকা-বাঁকা হয়ে দাঁড়ায় টিকিট প্রত্যাশীরা।
তবে টিকিট সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে অনেকেই প্রত্যাশিত টিকিট নিতে পারেননি।
আবার অনেকেই হাসিমুখে টিকিট নিয়ে ফিরেছেন বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে রেলের সঙ্গী হতে পেরে তারা ছিল বেশ খুশি।
যারা টিকিট পাননি তাদের অনেকেই আগামী দিনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। যে লাইন সাধারণত ইফতারের পর থেকে শুরু হতো, তৃতীয়দিন শেষে সেই লাইন শুরু হয়েছে দুপুরের পর থেকেই।
এদিকে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত টিকিট প্রতিবারই ভিআইপিসহ বিভিন্ন কোটায় চলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এবারও একই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই রেলওয়ে সচল রাখছে। ঈদ উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু যারা ছুটি পেয়ে বাড়িতে যেতে চায় তাদের জন্য নির্ধারিত ৫ শতাংশ টিকিট থেকে অন্যখাতে দেয়া হয়। এটা মেনে নেয়া হবে না। কোটা অনুযায়ী টিকিট দিতে হবে।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, কারও সংরক্ষিত টিকিট অন্যকে দেয়া হচ্ছে না। ৬৫ শতাংশ কাউন্টার, ২৫ শতাংশ ই-টিকিট ও মোবাইলে সাধারণ যাত্রীদের দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ভিআইপি ৫ এবং রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ টিকিট বরাদ্দ রয়েছে। এর ব্যতয় হবে না।
এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে দেয়ার জন্য ২ শতাংশ টিকিট রয়েছে বলেও জানান তিনি।