প্রবাসের খবর

আমার সব ব্যবসা ও ক্যাসিনো স্থানীয় সিটিতে নিবন্ধিত’

ঢাকা, ১৫ জুন, (ডেইলি টাইমস ২৪):

মানি লন্ডারিং ও অবৈধ জুয়ার ব্যবসা করে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগে সাবেক প্রচার সম্পাদক বাংলাদেশী-আমেরিকান নেহাল রহিম (৪০)।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি মহল ব্যবহার করতে বার বার চাপ দেয়া সত্ত্বেও আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। ভবিষ্যতেও করবে না।
তিনি বলেন, আমার সব ব্যবসা ও ক্যাসিনো স্থানীয় সিটিতে নিবন্ধিত এবং আমি প্রতিবছর স্বচ্ছভাবে ট্যাক্স প্রদানের মধ্যদিয়ে ব্যবসা করে আসছি। টেক্সাস ও আর-কানসাস অঙ্গরাজ্যের নিয়ম নীতিকে অনুসরণ করেই আমরা বৈধভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে হোটেল, রিয়েল এস্টেট, হাউজিং পাইকারি , ওয়্যার হাউস, বার এবং বিনোদন ব্যবসা করছি।
স্টেট অব টেক্সাসের স্থানীয় উডস বরো সিটিতে আমাদের একটি বিনোদন ব্যবসা রয়েছে যার নাম হচ্ছে সাউথ টেক্সাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজনেস। এই প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় উডস বরো সিটির নিয়ম নীতি ও আইন কানুনকে অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কখনোই নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ অভিযুক্ত হয় নি। আইন ভঙ্গের অভিযোগে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিটি ও স্টেট কর্তৃপক্ষ কখনো কোন জরিমানা বা সতর্কতামূলক চিঠিও ইস্যু করেনি। টেক্সাস ও উডবরো সিটিতে ব্যবসার জন্য প্রতিবছর আমরা প্রায় ২ লাখ ডলার ট্যাক্স দিয়ে থাকি। প্রতিদিনের ব্যবসা ও লেনদেন সবই হচ্ছে স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে।
উল্লেখ্য, মানি লন্ডারিং ও অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার অবৈধ আয়ের অভিযোগে এফবিআই’র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান নেহাল রহিম (৪০)। ব্যাংকে গচ্ছিত তার প্রায় এক লাখ ডলার এফবিআই জব্দ করেছে। মানি লন্ডারিং ব্যবসায় রহিমের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে এফবিআই। প্রায় এক মাস আগের এইসব ঘটনা বাংলাদেশি কমিউনিটির কেউ এতদিন জানতো না। স্থানীয় সময় শনিবার নিউইয়র্কের বাংলা সাপ্তাহিক ‘বাঙালী’ প্রধান শিরোনামে এক খবরটি প্রকাশ করার পর কমিউনিটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপরই বর্তমানে জামিনে থাকা নেহাল রহিম বিবৃতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন।
Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button