
স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের পর চুরির অপবাদ
ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর,(ডেইলি টাইমস ২৪):
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে নির্মাণাধীন ভবনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে ২ যুবক। এ ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ওই ছাত্রীকে চুরির অপবাদ দেয়া হয়।
রোববার রাতে উপজেলার সোন্ধারদিয়া গ্রাম থেকে ওই ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ওই এলাকার আ. করিমের ছেলে নয়ন (২৫) ও হাফিজুল শেখের ছেলে শহিদুল (২৬)। গ্রেফতারের পর একটি প্রভাবশালী মহল তাদের ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই ছাত্রী তার ফুফুর বাসা থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। সোন্দারদিয়া বালুর মাঠ এলাকায় আসলে নয়ন ও শহিদুল মেয়েটির মুখ চেপে একটি নির্মাণাধীন দালানের পেছনে নিয়ে রাত ২টা পর্যন্ত আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে পার্শ্ববর্তী এক দোকানের তালা ভেঙে ওই ছাত্রীকে চুরির অপবাদ দিতে থাকে ২ যুবক।
এক পর্যায়ে সালিশ-মীমাংসার কথা বলে ওই ছাত্রীকে এক প্রতিবেশীর কাছে জিম্মায় রাখে।
রোববার বিকালে চুরির অপবাদে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা সালিশ বসায়। সালিশ বৈঠকে ওই ছাত্রীর মুখে চুরির অপবাদের পরিবর্তে ধর্ষণের অভিযোগ শুনে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আজিজুল হক(লেবু কাজী) মামলার পরামর্শ দিয়ে সালিশটি বাতিল করে দেন।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ফুফু বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রীর বাবা প্রবাসী এবং মা তিন বছর আগে আত্মহত্যা করায় নাবালক ৩ ভাইবোনকে তার ফুফুরাই দেখাশুনা করেন। অসহায় ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর উল্টো চুরির অপবাদ দেয়ায় ওই এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শ্রীনগর থানার ওসি এসএম আলমগীর হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।