জাতীয়

দেরি হওয়ার আগেই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করুন

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর,(ডেইলি টাইমস ২৪):

রোহিঙ্গা সমস্যা আরও প্রকট হওয়ার আগেই এটা সমাধানে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এক হয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিষয়ে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানান। পাশাপাশি তুলে ধরেন বেশ কিছু প্রস্তাবও।

‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ওআইসি যেসব উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশ তার সঙ্গে আছে।’

গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসির কনটাক্ট গ্রুপ সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ আল ওথাইমেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এ আহ্বান জানান।

‘সংকটের মূল মিয়ানমারে। এর সমাধানও মিয়ানমারকেই খুঁজে বের করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আমি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ওআইসি যেসব উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশ তার সঙ্গে আছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, এই সংকটের মূল মিয়ানমারে। এর সমাধানও মিয়ানমারকেই খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই জাতিগত নিধনের শেষ চাই। আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের দুরবস্থাও বন্ধ করা দরকার।’

‘মিয়ানমারের ভেতরেই সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের রক্ষায় নিরাপদ অঞ্চল গঠন করতে হবে’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী কিছু প্রস্তাবও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধ সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মিয়ানমারের ভেতরেই সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের রক্ষায় ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠন করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের নিজ ভূমিতে নিরাপদে ও সসম্মানে ফিরিয়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগের দাবি জানান তিনি।

‘জোরপূর্বক বের করে দেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর মতে, মিয়ানমারে ‘শুদ্ধি অভিযান’-এর নামে চলমান সামরিক অভিযানে রাখাইন রাজ্যের মুসলমানদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, রাখাইনে মুসলিম নিধন অভিযান শুরুর পর গত ২৫ আগস্ট থেকে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের ৬০ শতাংশই শিশু। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা একটা অসহনীয় মানবিক বিপর্যয়। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি এবং তাদের কাছ থেকে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অত্যাচার-নির্যাতনের কথা শুনেছি।’

এ সময় শেখ হাসিনা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) দেশের নেতাদের বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button