
ধর্ষণের পর সাত দিন নজরবন্দি শিশুর পরিবার
ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর,(ডেইলি টাইমস ২৪):
গাজীপুরের শ্রীপুরে ধর্ষণের পর সাত দিন ধরে শিশুসহ তার পরিবারকে নজরবন্দি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নজরবন্দি অবস্থায় নির্যাতিত শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শিশুর মা অভিযোগ করেছেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় রাজাবাড়ী ইউপির মহিলা সদস্য সুফিয়া বেগম হুমকি দিয়েছেন। এ ছাড়া তাদের সাত দিন ধরে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে।
অভিযুক্তের ভাই দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ধর্ষক একই গ্রামের মৃত রহম উদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৫) পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের ভাই দুলাল (৪৮), তার ছেলে রুবেল (২২), স্থানীয় মৃত তাজ উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়াকে (৪৫) অভিযুক্ত করে মামলা রুজু হয়েছে।
শিশুর মা জানান, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন ঘর ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে তার মেয়েকে ডেকে নেয়। ঘরে নিয়ে শিশুকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে ঘটনা খুলে বলে।
তিনি জানান, রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুফিয়া খাতুনের কাছে এ ব্যাপারে বিচার প্রার্থনা করলে আজ নয় কাল নয় বলে ইউপি সদস্য সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এছাড়া তাদের বাড়ির বাইরে কোথাও যেতে নিষেধ করেন।
শিশুর মা জানান, মঙ্গলবার সকালে ইউপি সদস্য, সদস্যের স্বামী, শিশুটির বাড়ির লোকজনকে ডেকে শাসিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলতে এবং কোথাও না যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করে।
গত বছর সে (শিশুর মা) পূজা উৎসবে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে। এবারও তার নাম দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনার পর মহিলা ইউপি সদস্য অভিযুক্ত বিল্লালের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে বাড়ি থেকে বাইরে যেতে দেয়নি।
রাজাবাড়ী ইউনিয়নের মহিলা সদস্য সুফিয়া বেগম বলেন, শিশুর মা ভালো না। তার তিন মেয়েকে আমিই কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছি। তাই একটু শাসন করেছি।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন জানান, গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনে। এ ব্যাপারে শিশুর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছে।
তিনি জানান, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ভাতিজা রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।