
মিসাইল বানাতে উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করবে রাশিয়া!
ঢাকা,০১ অক্টোবর,(ডেইলি টাইমস ২৪):
পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে মিসাইল নিয়ে কাজ করতে চায় মস্কো। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
উত্তর কোরিয়ার মিসাইল সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ওলেগ বারমিস্ত্রোভের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চো সন হুই’র বৈঠকের পরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার মন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন চো। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে শান্তি বজায় রাখতে তারা যৌথভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়ার নাম্পো ন্যাভাল শিপইয়ার্ডে পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন নির্মাণে একযোগে সহায়তা করছে চীন ও রাশিয়ার ইঞ্জিনিয়াররা। ডিজেল-বিদ্যুতের চেয়ে পরমাণু সাবমেরিন নির্মাণের কাজ তুলনামূলকভাবে জটিল ও ব্যয়বহুল। অবশ্য পরমাণু ডুবোজাহাজের গতি অনেক বেশি হয়। সাগর তলে প্রায় অনির্দিষ্টকাল ওঁৎ পেতে বসে থাকতে পারে।
জ্বালানির জন্য পানির ওপর ওঠার কোনো প্রয়োজন না থাকায় এমনটি সম্ভব হয়। এ ছাড়া, এ ধরনের সাবমেরিন দিয়ে চালানো যায় বহুমুখী ও বিস্তৃত তৎপরতা।
পরমাণু সাবমেরিন সাধারণভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত হয়ে থাকে। ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে তুলনামূলক সংগোপনে ও নিঃশব্দে এ অস্ত্র পানির তল থেকে ছোঁড়া যায়। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি দিনের পর দিন জোরদার হয়ে উঠছে। এ ছাড়া, দেশটি ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ছয় দফা সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
উত্তর কোরিয়া বহরে ৫০ থেকে ৬০টি ডিজেল-বিদ্যুৎচালিত সাবমেরিন রয়েছে। পরমাণু ডুবোজাহাজ যোগ হলে তাতে নৌবহরের সক্ষমতা নিঃসন্দেহে এক লাফে বহুদূর এগিয়ে যাবে।