পুঁজিবাদী স্বার্থেই মিয়ানমারের পক্ষে চীন-রাশিয়া
ঢাকা,০৪ অক্টোবর,(ডেইলি টাইমস ২৪):
পুঁজিবাদী স্বার্থের কারণেই রাশিয়া, চীন ও ভারত নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে না দাঁড়িয়ে নিপীড়নকারী মিয়ানমার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারী ও শিশুরা আজও নিরাপদ নয়। মেয়েরা পথেঘাটে, চলমান বাসে, হোটেল, গৃহে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। একাত্তরের হানাদার ও মিয়ানমারের সেনা সদস্য সবাই একই আদর্শে দীক্ষিত। সেই আদর্শ পুঁজিবাদের, অক্টোবর বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাদের মালিকানা থাকে ৫ জনের হাতে, ৯৫ জন থাকে বঞ্চিত। বঞ্চিতরা দরিদ্র হয়। পুঁজিবাদ সবকিছুকেই বাজারে নিয়ে আসে। যাদের হাতে টাকা থাকে, তাদেরই বাজারে প্রবেশের অধিকার থাকে।
এ ব্যবস্থা চলতে থাকলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুঁজিবাদীরা মিডিয়াকে ব্যবহার করে সমাজতন্ত্রবিরোধী একচেটিয়া অপপ্রচার চালিয়েছে। এর ফলে সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্রগুলো সমাজতন্ত্র থেকে দূরে সরে গেছে। তবে সমাজতন্ত্রের পতন হয়নি।
অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল হবে।
এছাড়া ১১ অক্টোবর সকাল ১০টায় টিএসসি মিলনয়তনে সেমিনার, ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় মুক্তি ভবনে সেমিনার, ১৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় মুক্তি ভবনে সেমিনার অনুষ্ঠত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় গণফ্রন্টের আহ্বায়ক টিপু বিশ্বাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।