
নির্মাণাধীন থানা ভবনের ছাদ ধসে আহত ২
ঢাকা,০৫ অক্টোবর,(ডেইলি টাইমস ২৪):
কুমিল্লার চান্দিনা থানা পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে নতুন বহুতল ভবন। নির্মাণ কাজ চলতে থাকা অবস্থায়ই ভবনটির ৪০০ বর্গফুটের পোর্স ছাদ ধসে দুই নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নির্মাণাধীন থানা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।এদিকে, ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট, পাথর ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আহতদের মধ্যে নির্মাণ শ্রমিক আল-আমিন চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, চান্দিনা থানা পুলিশের কার্যক্রমের জন্য আশির দশকে দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়। ভবনটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছয় কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা ভবনের অনুমতি নিয়ে প্রমিন্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে।
এদিকে, পুরাতন ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরুর প্রথমদিক থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিম্নমানের পাথর, ইট ও সিমেন্ট ব্যবহার করে আসছিল। ভবনটি যেহেতু পুলিশের সেহেতু স্থানীয় লোকজনও এ বিষয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছিল না।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার ভবনটির ৪০০ বর্গফুটের পোর্স ছাদের ঢালাই চলছিল।
এর শেষপর্যায়ে শ্রমিকরা ছাদ থেকে নেমে আসার সময় হঠাৎ নির্মাণাধীন পুরো ছাদটি ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া ভবনে থাকা চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠায়।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভবনটি নির্মাণ ও ছাদ ঢালাই কাজের জন্য যে পরিমাণ রড ও সিমেন্ট দেওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে অনেক কম পরিমাণ ব্যবহারে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, ঘটনার পর দায়িত্বরত কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার আলমগীর হোসেন বলেন, “মূলত নির্মাণ শ্রমিকদের গাফিলতিতেই এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করব। ” চান্দিনা থানার ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, “ঘটনাস্থলে প্রকৌশলী পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ”