জেলার সংবাদ

মায়ের পরকীয়ায় জীবন গেল দুই শিশুর

ঢাকা,০৫ অক্টোবর,(ডেইলি টাইমস ২৪):

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে জীবন গেল দুই শিশুর। ঘটনার ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার আড়াই বছরের আয়শা সিদ্দিকার লাশ পুলিশ খেওয়ারচর এলাকার জিঞ্জিরাম নদী থেকে উদ্ধার করলেও ৭ মাস বয়সী হাসিবুল হাসানের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। ওই দুই শিশু প্রবাসী আব্দুর রহমানের সন্তান।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে উপজেলার পাঠাধোয়াপাড়া গ্রামের ফরহাদকে প্রবাসী আব্দুর রহমানের বাড়ির পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকাবাসী চোর চোর বলে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তাকে ধরে ফেলে। পরে ওই গ্রামের মাতব্বর আশরাফ আলীর বাড়িতে এক সালিশ বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়। সালিশে ফরহাদ পরকীয়া প্রেমের কথা প্রকাশ করেন। পরে গ্রামবাসী ফরহাদকে তার বাবা হাশেম আলীর কাছে তুলে দেয়।
পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানির ভয়ে প্রবাসী আব্দুর রহমানের স্ত্রী শিরিন আক্তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে পাঠাধোয়াপাড়া এলাকার জিঞ্জিরাম নদী পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাঁতার দেন। মাঝ নদীতে তিনি দুই শিশু সন্তান নিয়ে ভেসে যান।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিরিন, ফরহাদের বাবা ও মাতব্বর ওমেদ আলীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
৯ বছর আগে উপজেলার পাঠাধোয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে রাজিবপুর উপজেলার শিবেরডাঙ্গি গ্রামের সোহরাব আলীর মেয়ে শিরিন আক্তারের বিয়ে হয়। সাংসারিক নানা অভাব-অনটনের কারণে গত দেড় বছর আগে আব্দুর রহমান রোজগারের জন্য ওমানে চলে যান। বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় বাজার খরচ ও অন্যান্য প্রয়োজনে তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন আব্দুর রহমানের মামাতো ভাই ফরহাদ হোসেন। এভাবে শিরিনের সঙ্গে ফরহাদের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেওয়ারচর এলাকার জিঞ্জিরাম নদী থেকে শিশু আয়শা সিদ্দিকার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি এটি একটি হত্যাকাণ্ড। শিশু দুটিকে হত্যা করা হয়েছে কিংবা হত্যা করতে প্ররোচিত করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হলফ করে কোন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button