জেলার সংবাদ

হাজীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ঢাকা,০৮ অক্টোবর,(ডেইলি টাইমস ২৪):

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া হাজীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা হয়েছে। গোপালগঞ্জের ৭১ জন ব্যক্তিকে হজ করাতে নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ এনে হজ করে ফিরে আসা ভুক্তভোগী এক আইনজীবী হাজী এই মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আজ রবিবারই প্রতারক চক্রের মূল হোতা সরদার মো. মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অপর দুই প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমান পাটওয়ারী ও আবুল কাশেম মোল্লার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে হয়েছে। প্রতারক চক্রের সদস্য  সরদার মো. মহিবুল্লাহ গোপালগঞ্জ থানার বলাকৈড় গ্রামের মৃত লাল মিয়া সরদারের ছেলে, অপর মোস্তাফিজুর রহমান পাটওয়ারী কাশিয়ানী থানার সাধুহাটী গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে ও আবুল কাশেম মোল্লা একই থানার ডোমরাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে।

গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম নাহাজ পাশা, গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে এ প্রতারণা মামলাটি দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় লেখা হয়েছে তিনিসহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বসবাস রত ৭১ জন ব্যক্তিকে হজ পালন করিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে টাকা নেয়া হয়।

তাদের সৌদিতে ভালো হোটেলে রাখা, ভালোভাবে হজ করিয়ে আনার আশ্বাসে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ লাখ ৮৬ হাজার করে টাকা নেয়। কিন্তু  এসব হাজীদের সৌদি আরবে নিম্নমানের থাকার ব্যবস্থাসহ চরম প্রতারণা ও বাড়তি অর্থ আদায়ের বর্ণনা দিয়েছেন। বাদী পক্ষের বর্ণনা শুনে আদালতের বিচারক কাঞ্চন কুমার কুন্ডু প্রতারক চক্রের মূল হোতা সরদার মো. মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং অপর দুই প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমান পাটওয়ারী ও আবুল কাশেম মোল্লার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান অভিযুক্ত সরদার মো. মহিবুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকার পুরানা পল্টনের সাবান টাওয়ারের আব্দুল হওয়াবের মালিকানাধীন ‘গুলশানে মোহম্মাদিয়া’ নাম ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সৌদিতে হজ করতে গিয়েছিলাম।

আমার সঙ্গে অনেকেই গিয়েছিলেন। সেখানে মামলার বাদী নাহাজ পাশাও ছিলেন। আমি আগে পরে হজ করেছি তাই আমার অনেটা জানাশোনা আছে। অন্যরা নতুন বিধায় আমি তাদের তথ্যগত সাহায্য করেছি। এই কারণে তারা মনে করছেন আমি ওই এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত আছি।মহিবুল্লাহ আরো বলেন, গুলশানে মোহম্মাদিয়া এজেন্সি আমাদের পুরো প্যাকেজে খারবারসহ সকল ধরনের সুব্যবস্থা করার কথা বলেছিল। সেখানে মাত্র তিন দিন খাবার দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। ভালো ঘর দেয়ার কথা ছিল তা না দিয়ে খারাপ ঘর দিয়েছে। সব মিলে তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণাই করেছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা বলেন, আদালতের নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। আসলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button