মুক্তমত

বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনুন

ঢাকা,০৮ অক্টোবর,(ডেইলি টাইমস ২৪):

বাজারে স্বস্তি মিলছে না। চালের উচ্চমূল্যের মধ্যেই বাড়ছে সব ধরনের সবজির দাম। এমনকি মাছের বাজারও চড়া। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে মানুষজন। জনদুর্ভোগ কমাতে তাই বাজারে স্বস্তিকর অবস্থা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাঁকছেন বিক্রেতারা। এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০, টমেটো ১৪০, ধুন্দুল ৪০ ও প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া লাউ প্রতি পিস ৩০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০, লালশাক প্রতি আঁটি ৩০, ডাটাশাক ৩০, কলমিশাক ২০, পুঁইশাক ৬০ ও পাটশাক ১৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হয়েছে। বেড়েছে মাছের দামও। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় দেশি মাছ বাজারে উঠলেও এর সুযোগ নিচ্ছে মাছ ব্যবসায়ীরা।

 ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণের ওপরই অনেক কিছুই নির্ভরশীল।’ 

বাজারে এখন প্রতি কেজি বড় আকারের ইলিশ (৮০০ গ্রামের উপরে) দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় মাসখানেক ধরে তুলনামূলক সস্তায় থাকা ছোট আকারের ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা। বর্তমানে ছোট আকারের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকার মধ্যে। একইভাবে প্রতিকেজি রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ ও শিং ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের এই ব্যাপক দরবৃদ্ধির প্রভাবে বেকায়দায় পড়েছে রাজধানীবাসী। সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর। চালের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই মূলত নিন্ম আয়ের মানুষজনকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। নানা ব্যবস্থার পরও এখনো স্বস্তিকর অবস্থায় আসেনি চালের দাম। এরমধ্যেই সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অতিবৃষ্টি এবং বন্যায় সবজি উৎপাদন কমে গেছে। এ জন্য বাজারে সরবরাহও কম। আর দাম বৃদ্ধির জন্য সরবরাহে ঘাটতির কথাই বলছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে না পারলে জনদুর্ভোগ আরো বাড়বে। এটা কাম্য হতে পারে না। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখা সরকারের দায়িত্ব। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণের ওপরই অনেক কিছুই নির্ভরশীল। সে কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষজনকে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখতে চায়।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button