জাতীয়

আইকাও সেফটি স্ট্যান্ডার্ড কমপ্লায়েন্সে এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

ঢাকা, ১২ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) সেফটি স্ট্যান্ডার্ড কমপ্লায়েন্সের (ইফেকটিভ ইমপ্লিমেন্টেশন) দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। গত ১৯ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ভ্যালিডেশন মিশন নামক একটি অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করে আইকাও। ওই অডিটে কমপ্লায়েন্সে বাংলাদেশ শতকরা ৭৭.৪৬ ভাগ পয়েন্ট অর্জন করেছে, যার পরিমাণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই কমপ্লায়েন্সে এত পয়েন্ট বাংলাদেশ এই প্রথম অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইকাও-এর সেফটি স্ট্যান্ডার্ড কমপ্লায়েন্সে (ইফেকটিভ ইমপ্লিমেন্টেশন) কাতারের পয়েন্ট ৬৩ দশমিক ৮১ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ, রাশিয়ার ৭০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৭৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৫১ দশমিক ৬১ শতাংশ, মালদ্বীপের ৬৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, ভারতের ৬৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, ভুটানের ৩৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর আগে, ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত আইসিভিএমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আইকাওয়ের কালোতালিকা থেকে মুক্ত হয়েছিল। ওই বছর বাংলাদেশের অর্জন ছিল ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট।
জিন ক্লডি ওয়াফো’র নেতৃত্বে আইকাও-এর ছয় সদস্যের একটি দল আটটি বিষয়ে বাংলাদেশে অডিট পরিচালনা করে। বিষয়গুলো হলো— বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাইমারি এভিয়েশন লেজিসলেশন, অর্গানাইজেশন, পার্সোনাল লাইসেন্সিং, অপারেশনস, এয়ারওয়ার্দিনেস, এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন, এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেস, অ্যারোড্রোস অ্যান্ড গ্রাউন্ড এইডস।
অডিট শেষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অডিট দল বাংলাদেশের সাফল্য ঘোষণা করেন। অডিটররা জানান, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্য বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষস্থানীয়। শুধু তাই নয়, শিকাগো কনভেনশনে সই করা সব দেশের বাংলাদেশ সম্মানজনক একটি অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে যেসব বিষয় নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে তা হলো— সদ্য প্রণয়ন করা বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত দু’টি আইন যেগুলো অডিটের সময় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নতুন অর্গানোগ্রাম, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটির কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানের কর্মদক্ষতাও প্রশংসিত হয়েছে।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানায়, বাংলাদেশের এই অর্জনের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্মকাণ্ডের গ্রহণযোগ্যতা অনেকগুণ বাড়লো। আশা করা যায়, এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কার্যক্রম আরও বাড়বে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button