
জামায়াতের আজিজসহ ৬ জনের যুক্তিতর্ক ফের পেছাল
ঢাকা, ১২ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক এমপি আবদুল আজিজ মিয়া আজিজসহ ছয়জনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ফের পেছানো হয়েছে।
আগামী ২২ অক্টোবর নতুন দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুর পর প্রায় তিন মাস পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম দিনেই এ আদেশ এলো।
বিচারিক প্যানেলের অপর নতুন দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার।
বুধবার আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে চেয়ারম্যান করে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে নতুন দুই সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি আমির হোসেন এবং পিআরএলে থাকা জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু আহমেদ জমাদার।
গত ১৩ জুলাই বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুর পর থেকেই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদ খালি ছিল। ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি শাহিনুরের সঙ্গে সদস্য হিসেবে থাকা মো. সোহরাওয়ার্দী হাইকোর্টে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করায় তাকে সেখানেই ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এজলাসে ওঠেন পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান ও দুই সদস্য। শুরুতেই ট্রাইব্যুনালের প্রয়াত চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হককে স্মরণ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পরে চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত দুই সদস্যকে রাষ্ট্রপক্ষ এবং উপস্থিত আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
এরপর গাইবান্ধার সাবেক এমপি জামায়াত নেতা আবু সালেহ মুহাম্মদ আবদুল আজিজ মিয়া (৬৫) ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি পুনরায় শুনানির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ৯ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় যে কোনো দিন রায় দিতে মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন প্রয়াত চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার ছয় আসামির অন্য পাঁচজন হলেন- গাইবান্ধার মো. রুহুল আমিন মঞ্জু (৬১), মো. আবদুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। মো. আবদুল লতিফ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকলেও অন্যরা পলাতক।
তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, আটক, অপহরণ, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর হায়দার আলী, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও শেখ মোশফেক কবির।
আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।