জাতীয়

অর্থনৈতিক নয়, জাতীয় নিরাপত্তাই বেশি জরুরি

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

ভারত, রাশিয়া ও চীন অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক বিষয়গুলো নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। যখন এ রোহিঙ্গারা ওইসব দেশসহ বিশ্বের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে তখন তারাও বুঝবে, অর্থনৈতিক দিক নয়, জাতীয় নিরাপত্তাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।

‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা: প্রেক্ষিত, রোহিঙ্গা সংকট’বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে বৌদ্ধিস্ট জার্নাল ও অনলাইন ফোরাম যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

ভিক্ষু সুনিন্দপ্রিয়’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনা দাশগুপ্ত, সাংবাদিক রাহুল রায়, জুলফিকার মানিক, রাহুল রাহা, সুভাষ সিংহ রায়, আশিস সৈকত। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন অসিশ মণ্ডল বড়ুয়া, ব্যরিস্টার বিল্পব বড়ুয়া, নির্মল রোজারিও প্রমুখ।

তারা বলছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জামায়াত-বিএনপি লাভবান হচ্ছে। জামায়াত তাদের পেছনে অর্থলগ্নি করছে। ফান্ড তৈরি করছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাবে।

শাহরিয়ার কবির বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে বর্বর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে- তা কখনও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, এটি জাতিগত দাঙ্গা। মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ দাঙ্গা নয়। সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় দুশমন হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। ফেসবুকের মাধ্যমে দায়িত্বহীন অনলাইনগুলো সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি রোহিঙ্গাদের নিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসি গোষ্ঠী তৈরি করতে চাচ্ছে। তাদের নিয়ে তারা রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। জামায়াত নেতারা মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসতে গাইড হিসেবে কাজ করছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে ৫০ বছর ধরে সেনা শাসিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে। সেনারা বর্বর কর্মকাণ্ডগুলো করছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায় এ দাঙ্গার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বাংলাদেশে কোনো কোনো মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে দোষী করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায় গোষ্ঠী শংকায় রয়েছেন।

মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আমরা ভারত নিয়ে গত ১০ বছর সচেতন ছিলাম, কিন্তু মিয়ানমার নিয়ে সচেতন ছিলাম না। মিয়ানমারের গণতন্ত্র এখন সুতোর মধ্যে ভাসছে। ওখানে বৌদ্ধরা বর্বর কাণ্ডে জড়িত নয় বলেও তিনি জানান।

শ্যামল দত্ত বলেন, মিয়ানমারে এক সংবাদ সম্মেলনে অং সান সু চিকে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবেন কী না। তিনি এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। তিনি সেনা শাসনের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারছেন না।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনা ও তাদের দোসরা যে ভয়ংকর নির্যাতন চালাচ্ছে- তা বিশ্বজনমতের মধ্য দিয়ে কঠোরহস্তে বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, আজ দেশের সংখ্যালঘুরাও ভয়-সংকটে রয়েছে। ২৯ শতাংশ সংখ্যালঘুর জায়গা আজ কেন মাত্র ৯.৮ শতাংশ। সংখ্যালঘু কমে যাওয়া কিংবা বিতাড়িত হওয়ার কারণ কী? এর জবাব সরকার তথা প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দিতে হবে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button