জাতীয়

সীমান্তে শক্তি বাড়িয়েছে মিয়ানমার

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই সীমান্তে শক্তি বাড়িয়েছে মিয়ানমার। সীমান্তবর্তী পাহাড়ে টহল জোরদারের পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনী ও বিজিপি সড়কেও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা বানচাল করতেই দেশটির এ আয়োজন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার সরেজমিন বাংলাদেশের তমব্রু সীমান্তের বেতবুনিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, সীমান্তে পাহাড়ের ঢালে অস্ত্র উঁচিয়ে টহল দিচ্ছে মিয়ানমার সেনারা। অস্ত্র আর গোলাবারুদ নিয়ে ছুটছে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। সংস্কার করা হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। ট্রাক ও পিকআপ বোঝাই সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) মহড়া দিচ্ছে সড়কেও। এছাড়া সীমান্তে সেনাদের পায়চারী আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।

সরেজমিন আরও দেখা গেছে, তমব্রু সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কমে এসেছে। কারণ এ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় অনেক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাই ভয়ে এ পথ এড়িয়ে চলছেন রোহিঙ্গারা।

মিয়ানমারের টংবাজারের দুম্মাই পাড়ার বাসিন্দা আবদুর রহিম। আশ্রয় নিয়েছেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তিনি বলেন, তমব্রু সীমান্ত দিয়ে এক সময় হাজারও রোহিঙ্গা এলেও এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। কারণ সীমান্তে নিরাপত্তা জোনদার করেছে মিয়ানমার সেনারা।

তমব্রু সীমান্তে মাঠে কাজ করছিলেন কৃষক মানিক মিয়া। তিনি জানান, এখন মাঠে কাজ করতেও ভয় লাগে। সারাক্ষণ মিয়ানমার সেনারা অস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা বানচাল ও রোহিঙ্গারা যাতে নিজ বাড়িঘরে ফিরতে না পারেন সেজন্য সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তিনি জানান, এ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৭০০ রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এ বিষয়ে তমব্রু বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল হাকিম যুগান্তরকে বলেন, মিয়ানমার সেনাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button