
সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা রাজনীতির চর্চা করবেন না: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের রাজনীতি ও ইতিহাস চর্চা না করার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘‘সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা ইতিহাস ও রাজনীতি চর্চা করবেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানিয়েছেন, ‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা।’ কিন্তু আমি বলতে চাই, জিয়াউর রহমান সামরিকতন্ত্রের প্রবক্তা।’’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যে ২০ দফা দাবি উত্থাপন করেছে তার বেশিরভাগই অযৌক্তিক, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও সংবিধান পরিপন্থী। বিএনপির ওই ২০ দফা নির্বাচনের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য নয় বরং রোড ব্লক করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনি লক্ষ্য স্থির না। তারা কখনও সহায়ক সরকার, কখনও নির্দলীয়, আবার কখনও নিরপেক্ষ সরকার চেয়েছে। বিএনপির নেতারা আসলে সকাল, বিকাল ও সন্ধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেন।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিএনপির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলীয় প্রার্থী, জোটের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোয়ন দিতে হবে। প্রার্থী মনোনয়নের আগে জোট করা অযৌক্তিক। তারা এ প্রস্তাব দিয়েছে মূলত জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এটা চক্রান্ত।’
স্বশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তিনশ জন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন এক হাজার দুইশ জন। এতো লোক থাকার পরও স্বশস্ত্র বাহিনীকে কেন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে? এ দাবি আরপিও পরিপস্থী।’