প্রধান সংবাদরাজনীতি

খালেদা জিয়ার বন্দি জীবনের ৫ বছর

ডেইলি টাইমস: দুর্নীতির সাজায় খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের পাঁচ বছর পূর্ণ হলো। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

প্রায় চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে দেশের প্রধান দুই দলের একটির নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দশককাল দেশেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।

খালেদা জিয়া একমাত্র বন্দি হিসেবে প্রথম ১৩ মাস পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারেও ছিলেন। ওই কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত হলে বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া। এর পর ছয় দফা তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। সবশেষ গেল বছরের সেপ্টেম্বরে খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার কথা জানায় সরকার। এদিকে দলের চেয়ারপার্সনের কারাদিবস উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি নেই বিএনপির।

২০১৮ সালে বেগম জিয়াকে কারাগারে নেয়া হলেও তার মুক্তির দাবিতে জোরালো আন্দোলনে ব্যর্থ হয় দলটি। এরপর ২০২২ সালে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজপথ উত্তপ্ত করলেও চলতি বছরে এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি দলটি।

এবিষয়ে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আজকে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোনো কর্মসূচি নেই। তবে বিবৃতি যাবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি কর্মসূচির প্রথম দাবিই থাকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় তাকে আটক রাখা হয়েছে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button