প্রধান সংবাদলাইফস্টাইল

টানা ডিম খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে শিশুদের: গবেষণা

পরিবারের পুষ্টির জোগান দিতে সবাই সর্বপ্রথম বেছে নেন ডিম। সব বাবা-মাই চান নিজের সন্তানকে নিয়মিত এই পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে। কিন্তু এবার সেই খাবার নিয়েই এলো শঙ্কার খবর। গবেষণায় ডিমে পাওয়া গেছে সীসাসহ কিছু ক্ষতিকর ভারী ধাতুর উপস্থিতি। যা ধীরে ধীরে মারণব্যাধিতে ঠেলে দিতে পারে যেকোনো মানুষকে।
সম্প্রতি কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বড় ৬টি বাজার থেকে ৭২টি ফার্মের ডিম সংগ্রহ করে তাতে ১০টি ভারী ধাতুর উপস্থিতি অনুসন্ধান করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দনেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিসিএসআইআর এর গবেষকরা। সেই ডিমগুলোতে দস্তা, তামা, সিসা ও লৌহের অস্বাভাবিক উপস্থিতি মিলেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি সীসা নিয়ে।
তবে যে পরিমাণ সীসার উপস্থিতি মিলেছে তা বড়দের জন্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও প্রতিদিন ডিম খাওয়া শিশুদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল টক্সিকোলজিস্ট ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী বলেন, যেকোনো মাধ্যমে মানুষের শরীরে ভারী ধাতু, বিশেষ করে সীসা প্রবেশ করলে তা সেই মানুষকে ধীরে ধীরে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা, রক্তশূন্যতা, মস্তিষ্ক-কিডনি-স্নায়ুর ক্ষতিসহ নানান জটিল রোগের দিকে নিয়ে যায়। বিশেষ করে এটি চরম ক্ষতি করে শিশু ও গর্ভবতী মায়ের।
মুরগীর খাবারের মাধ্যমে এইসব ক্ষতিকর উপদান ডিমে আসছে বলে জানিয়ে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
এর আগে ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত চাষের মাছেও সীসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সেই সময়ও মাছে সীসার উপস্থিতির জন্য ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে ফিস ফিড তৈরিকে দায়ী করা হয়েছিল।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button